তাজমহল সম্পর্কে ধারণা | তাজমহলের রহস্য - Ideas about the Taj Mahal

 

তাজমহল সম্পর্কে ধারণা 

  • ভারতবর্ষের ইতিহাসের আগ্রার তাজমহল বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত প্রেমের প্রতীকগুলির মধ্যে একটি অন্যতম নির্দেশন।। এর পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে অনেক গোপন রহস্য। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের নির্দেশে তাজমহলটি শেষ হতে ১৭ বছর সময় লেগেছিল, এটি তার প্রিয় বেগম মমতাজের জন্য তিনি তৈরি করেছিলেন। সন্তান প্রসবের সময় মারা যান মুমতাজ। কয়েক শতাব্দী পরে, এটি এখনও ভারতের সবচেয়ে পরিচিত স্থাপত্যের বিস্ময় হিসাবে রয়ে গেছে। কিন্তু তাজমহল সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে যা খুব কম লোকই জানেন।  
  • তাজমহল খুবই সুন্দর একটি প্রতিসম স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে আমাদের সামনে প্রতিভাত হয়। তাজমহল মিনার দ্বারা ঘেরা। এর লাল বেলেপাথরে দুটি অভিন্ন কাঠামো - একটি মসজিদ এবং একটি অতিথিশালা - সমাধি থেকে সমান দূরে অবস্থিত। খিলান থেকে শুরু করে সম্মুখভাগ এবং মার্বেলের উপরে ক্যালিগ্রাফি- সবকিছুই প্রতিসম।
  • তবে তাজমহলে এমন একটি জায়গা আছে যা বেমানান, আর তা হল শাহজাহানের সমাধি। স্থানীয় কিংবদন্তি আছে যে সম্রাট নিজের জন্য একটি কালো তাজমহল তৈরি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার সময় ফুরিয়ে গিয়েছিল, তাই তার সমাধিস্থলটি তাজমহলের সৌন্দর্যের সামনে একেবারেই বিপরীত ।

তাজমহলের সৌন্দর্যচর্চা | তাজমহলের সৌন্দর্য 

আগ্রা একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট হয়ে উঠলে, শহর ও আশেপাশের এলাকায় শিল্পায়ন ও বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। যার জেরে তাজমহলের সম্মুখভাগের মার্বেল পাথরগুলি হলুদ হতে শুরু করে । অবশেষে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোনের অন্তর্গত শিল্পগুলি - যা ১০,৪০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত - অবশ্যই প্রাকৃতিক গ্যাসের আওতায় আনতে হবে বা ওই জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একজন ভারতীয় নারীর মতোই তাজের সৌন্দর্যচর্চা করা হয়। ফুলারস আর্থ বা মুলতানি মাটি হলো এক ধরনের ক্লিনজিং মাড প্যাক। সেটি তাজের উপর ভালো করে লেপে দেয়া হয়। তারপর ২৪ ঘণ্টা পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়, এই প্রক্রিয়া তাজের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছিলো ।

তাজমহলের ইতিহাস 

তাজমহল ( বাংলা,হিন্দি: ताज महल, উর্দু: تاج محل) ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে। প্রায় ২১ বছর সময় লেগেছিল এই ভবনটি  নির্মান করতে।

তাজমহল তৈরি করেন কে | তাজমহল নির্মাণ করেন কে

তাজমহল কেন তৈরি হয়েছিল পরিচ্ছেদসমূহ তাজমহল (হিন্দি: ताज महल, উর্দু: تاج محل) ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সম্রাট শাহজাহানের অর্থ এই তাজমহলটি নির্মাণ করে নির্মাণ কর্মীরা।

সূত্র : ইউকিপিডিয়া। ২২ এপ্রিল ২০২৪ 

তাজমহলের প্রধান ডিজাইনার কে 

তাজমলের প্রধান ডিজাইনার হলেন ওস্তাদ ঈসা।ওস্তাদ ঈসা ছিলেন তাজমহলের স্থপতি।

তাজমহলের পূর্ব নাম কি | তাজমহলের আসল নাম কী 

তাজমহলের আসল নাম "মমতাজ মহল" (Mumtaz Mahal)। তাজমহল একটি সুন্দর মৌসুমি ভবন, যা ভারতের আগ্রা শহরে অবস্থিত আছে এবং মুগল সাম্রাজ্যের সুলতান শাহজাহানের প্রিয় স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মৃতির উদ্বৃত্তি হিসেবে নির্মিণ করেন। ২২ এপ্রিল ২০২৪। 

তাজমহল তৈরি করতে কত শ্রমিক লেগেছিল | তাজমহল তৈরি করতে কতজন লেগেছিলো

তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬৩২ সালে এবং পুরোপুরি শেষ হয় ১৬৫৩ সালে। এ সময়কালে ২০,০০০ শ্রমিক ও কারিগর তাজমহল নির্মাণে দাসদের মতো ব্যবহৃতহয়েছিল। 15 April 2024. 

তাজমহল ভারতের কোন রাজ্যে অবস্থিত?

তাজমহল ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলায় প্রায় ১৭ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত মুঘল বাগানে গঙ্গা বা যমুনা নদীর ডান তীরে অবস্থিত।


তাজমহলের  রহস্য | তাজমহল তৈরির রহস্য 

তাজমহলের এসব তথ্য আগে জানতেন কি?

  • কালের বিস্ময় তাজমহল। এটি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য। ইন্দো ইসলামিক স্থাপত্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম স্থাপত্য এটি। তাজমহলের নির্মাণশৈলী এতটাই নিখুঁত ও সৌন্দর্যময় যা বিশ্বের সব স্থাপত্যকেই এর থেকে আলাদা করেছে।
  • ভালোবাসার প্রতীক হলো এই তাজমহল। সম্রাট শাহজাহান তার মৃত স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতিরক্ষার্থে এটি নির্মাণ করেছিলেন।
  • সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি তাজমহল হলো একটি মৌসোলিয়াম বা দরগা। সম্রাট তার স্ত্রী মমতাজকে সমাধিস্থ করেন এই মহলেই। এমনকি মৃত্যুর পর সম্রাট শাহজাহানকেও তার স্ত্রীর পাশে সমাধিস্থ করা হয়।
  • মুঘল সাম্রাজ্য শৈলীর নকশা সমগ্র ভবনটিতে আছেভ। যা সমাধিক্ষেত্রটিকে বেষ্টন করে আছে। শতকের পর শতক ধরে, ভালোবাসার এই স্মৃতিস্তম্ভ আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।
  • তাজমহল নিয়ে নানা পৌরানিক কাহিনির প্রচলন আছে। এই বিশ্ববিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য আছে, যা হয়তো আজও আপনার অজানা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
  •  তাজমহলের নির্মাণকাজ ১৬৩২ সালে শুরু হয়েছিল। আর শেষ হয় ১৬৫৩ সালে। মোট ২২ বছর ধরে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
  • ভারতীয়, ফরাসি ও ইসলামিক শৈলীর স্থাপত্যের সংমিশ্রণে নির্মাণ করা হয় তাজমহল।
  • তাজমহলের স্থপতির নাম আহমেদ লাহৌরি।
  • জানলে অবাক হবেন, তাজমহলে নির্মাণকাজে নিযুক্ত ছিলেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। টানা ২২ বছর ধরে তারা সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্মাণ করেন এই স্মৃতিস্তম্ভ।
  • তাজমহল নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৩২০ মিলিয়ন রুপি।
  • তাজমহলে ব্যবহৃত মার্বেল পাথর রাজস্থান, তিব্বত, আফগানিস্তান ও চিন থেকে আনা হয়েছিল।
  • দিনের বিভিন্ন সময় তাজমহলকে ভিন্ন রঙে দেখা যায়। অনেকের ধারণা, এই পরিবর্তিত রংগুলো নারীর পরিবর্তনশীল মেজাজকে চিত্রিত করে।
  • তাজমহল বিশ্বের সেরা বিস্ময়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে চিহ্নিত।
  • অনেকেই বলেন, তাজমহল নির্মাণের পর শাহজাহান সব শ্রমিকের হাত কেটে ফেলেন যাতে এই ধরনের স্থাপনা আর তৈরি না হয়। তবে এটি মোটেও সত্য নয়।
  • তাজমহল প্রাঙ্গনে একটি মসজিদ আছে। তাজমহল শুক্রবারে বন্ধ থাকলেও নামাজ পড়তে যাওয়া ব্যক্তিদের তাজমহলের ভেতরে অনুমতি দেওয়া হয়।
  • ১৯ শতকের শেষের দিকে তাজমহল ব্রিটিশ সৈন্যদের দ্বারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। স্মৃতিস্তম্ভের দেয়াল থেকে মূল্যবান পাথর বের করা হয়েছিল।
  • ১৯ শতকের শেষের দিকে ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড কার্জন স্মৃতিস্তম্ভটি পুনরুদ্ধারের আদেশ দেন। তাজমহলের অভ্যন্তরীণ কক্ষে ঝুলানো একটি বড় বাতিও উপহার দেন।
  • ২০০০ সালে একজন ভারতীয় লেখক পি.এন. ওক দাবি করেন, তাজমহল আসলে একটি শিবমন্দির ছিল। প্রমাণের জন্য তাজমহলের বিভিন্ন স্থান খনন করার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তার আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
  • ২০০১ সালে ইউনেস্কো তাজমহলে ২ মিলিয়নেরও বেশি দর্শকের নথিভুক্ত করেছে। 
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাজমহলকে ‘কালের গালে অশ্রুবিন্দু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
  • এছাড়াও উল্লেখযোগ্য আরো অনেক বিষয় আছে যা আমাদের এখনও অজানা।

তাজমহলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত | তাজমহলের দৈর্ঘ ও প্রস্থ কত মিটার 

তাজমহল ৫৫ মিটার লম্বা। সমাধিটি নিচে ব্যাসে ১৮ মিটার এবং উচ্চতায় ২৪ মিটার।

আরো তথ্য জানতে বাকি অংশ পড়ুন। 

তাজমহলের গায়ে কি লেখা আছে | মহলের দেওয়ালে কি লেখা আছে  

"হে আত্মা, তুমি বিশ্রামে আছ। তাঁর সাথে শান্তিতে প্রভুর কাছে ফিরে যাও, এবং তিনি তোমার সাথে শান্তিতে আছেন।" কালো মার্বেলে আরবি শিলালিপিগুলি দক্ষিণ প্রবেশদ্বার এবং প্রধান সমাধি উভয়কে সজ্জিত করতে ব্যবহৃত হয়। কালো মার্বেল অক্ষরে সাদা মার্বেল স্ক্রোল-এর মতো সীমানা যা স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যগুলিকে ফ্রেম করে রেখেছে।

এবং এটা মানুষকে আর্কষন করে। 

20 April 2024.

তাজমহল কি দিয়ে তৈরি | তাজমহল কিসের তৈরি 

তাজমহল তৈরি হয়েছে সাড়া এশিয়া এবং ভারত থেকে আনা বিভিন্ন উপাদান সামগ্রী দিয়ে। নির্মাণ কাজের সময় ১,০০০ এরও বেশি হাতি ব্যবহার করা হয়েছিল নির্মাণ সামগ্রী বহন করে আনার জন্য। আলো-প্রবাহী অস্বচ্ছ সাদা মার্বেল পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে, ইয়াশ্‌ব্‌- লাল, হলুদ বা বাদামী রঙের মধ্যম মানের পাথর আনা হয়েছেল পাঞ্জাব থেকে।

তাজমহল |Tazmohol - Tazmahal

  • তাজমহল (হিন্দি: ताज महल, উর্দু: تاج محل) ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন।
  •  সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে। সৌধটির নকশা কে করেছিলেন এ প্রশ্নে অনেক বিতর্ক থাকলেও, এটি পরিষ্কার যে শিল্প-নৈপুণ্যসম্পন্ন একদল নকশা প্রস্তুতকারক ও কারিগর সৌধটি নির্মাণ করেছিলেন যারা উস্তাদ আহমেদ লাহুরীর সাথে ছিলেন, যিনি তাজমহলের মূল নকশা প্রস্তুতকারক হওয়ার প্রার্থীতায় এগিয়ে আছেন।
  • তাজমহলকে (কখনও শুধু তাজ নামে ডাকা হয়) মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধীটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল। তখন একে বলা হয়েছিল। 22 April 2024.

নোটবুক : আশাকরি আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে কাঙ্খিত তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। 
এরকম আরো অসংখ্য হাদিস ও শিক্ষামূলক পোস্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের এই বাংলা ব্লক ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন । 
প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে ভিজিট করুন জে কে ব্লগ বিডি ডট কম ওয়েবসাইটডে ও যোগাযোগ করুন জিমেইল ,টেলিগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও জে কে ব্লক বিডি ডট কম ওয়েবসাইটে। 
আমাদের এই জে কে বাংলা ব্লগ বিডি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit